রাজধানীর জুরাইন থেকে যাত্রী তুলে ট্রেনটি নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে দিয়েছিল। কিন্তু সে সময় ট্রেনে উঠতে গিয়ে পা ফসকে পড়ে গিয়ে প্রাণ হারায় দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আল আমিন (১৭)। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যার ঘটনা এটি।

আল আমিন শ্যামপুরের কবি নজরুল উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে পড়ত। সে মা-বাবার সঙ্গে কদমতলী এলাকার সবুজবাগে থাকত।

প্রত্যক্ষদর্শী আল আমিনের বন্ধু মো. জোবায়ের প্রথম আলোকে বলেছে, সে ও আল আমিন নারায়ণগঞ্জে যেতে জুরাইনের বরইতলা এলাকায় ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিল। ট্রেন আসতে দেরি দেখে সে (জোবায়ের) পাশেই চিনাবাদাম কিনছিল। এরই মধ্যে ট্রেন এসে যাত্রী ওঠানো শেষে আবার ছেড়ে দেয়। তবে ট্রেনের গতি ছিল কম।

একপর্যায়ে আল আমিন ওই ট্রেনে উঠতে গেলে পা ফসকে রেললাইনের পাশে পড়ে যায় । এতে তার পা ভেঙে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পায়। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

ঢাকা মেডিকেল পুলিশ বক্সের পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া আজ রাতে প্রথম আলোকে বলেন, আল আমিনকে রাত আটটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেলের মর্গে রাখা হয়েছে।

জোবায়ের জানায়, সে ও আল আমিন মাঝেমধ্যে জুরাইন থেকে নারায়ণগঞ্জে ট্রেনে বেড়াতে যেত এবং সেখানে কিছুক্ষণ থাকার পর আবার ঢাকায় ফিরে আসত।

দুর্ঘটনার খবরে রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে যান আল আমিনের মা লিপি আক্তার। ছেলের লাশ দেখে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, ‘জোবায়ের ছেলেকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। এখন এসে দেখি আমার ছেলের লাশ।’

আল আমিনের বাবা রফিকুল ইসলামের রিকশার ব্যবসা আছে। তাঁর বাড়ি মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার গাওদিত্বকে। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে আল আমিন বড়।